যে সমস্ত ব্যক্তিরা জীবনে সফল হয়েছেন,জীবনের কোননা কোনো মুহূর্তে তাঁদের জীবনেও অনেক বাধা এসেছে,যা তাঁদের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই সব বাধা কাটিয়ে ওঠার জন্য তাঁরা যে সব উপায় অবলম্বন করেছেন তারমধ্যে সেরা পাঁচটি অভ্যাসের কথা বলা হলো।
অভ্যাস নম্বর ১- কল্পনা(Visualization )
আজ আমাদের কাছে যে সব জিনিস রয়েছে তা কম্পিউটার,মোবাইল ফোন,ইন্টারনেট,ট্রেন বা উড়োজাহাজ যাই হোক না কোনো,এগুলো আগে শুধুমাত্র কল্পনা ছিল,কিন্তু আজ এগুলো বাস্তব।
যারা এইসবের আবিষ্কার করেছেন তারা মনে কল্পনা করতে পেরেছিলেন বলেই তা বানানোর কথা ভাবতে পেরেছিলেন।যে কাজ আপনি করতে চান বা জীবনে যা হতে চান তা যদি আপনি কল্পনাই না করতে পারেন বা মনে আনতে না পারেন তবে কোনো দিনই তা হতে বা করতে পারবেন না।
সমস্ত সফল ব্যক্তি যাঁরা তার নিজ কর্মক্ষেত্রে সফল হয়েছেন,তা ছোট ধরণের সফলতা হোক বা বড়,তার শুরু কল্পনা থেকেই হয়েছে।তাই ভাবতে শিখুন। তবেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে পারবেন।
আমাদের অবচেতন মন সারাদিনই সক্রিয় থাকে কিন্তু রাতে ঘুম আসার ঠিক কিছুক্ষন আগে থেকে আমাদের অবচেতন মন সব থেকে বেশি সক্রিয় থাকে।যদি আপনি সারা দিন ভালো চিন্তা কথা করেন, কিন্তু দিনের শেষে যখন আপনি ঘুমোতে যান তখন যদি ঋণাত্মক চিন্তা করেন তবে সারা দিনের এতো ভালো ভাবনার কোনো ফল আপনি পাবেন না।তাই রাতে ঘুম আসার আগে পর্যন্ত অবশ্যই ভালো চিন্তা করুন।
অভ্যাস নম্বর ২- (Throw worries in the dustbin)
রাতে ঘুমোনোর আগে সমস্ত খারাপ চিন্তাগুলো কাগজে লিখে ফেলুন। যা মাথায় আসে তাই লিখে ফেলুন।আসলে আমাদের মাথা খারাপ চিন্তা গুলোকে খুব দ্রুতভাবে বারবার মনে করাতে থাকে।
কিন্তু যখন আপনাকে বারবার লিখতে হবে তখন আপনার ওই চিন্তাগুলো কম হতে হতে ফিকে হয়ে যাবে।এটা হলো চিন্তা করার নতুন উপায়,যেখানে আপনি আপনার মাথা দিয়ে নয় বরং কলম দিয়ে চিন্তা করেন।এরকম করলে আপনি বেশি চিন্তা করতে পারবেন না কারণ যখনি আপনার মাথায় চিন্তা আসবে তখনি আপনাকে ওটা লিখতে হবে। অনেক সফল ব্যক্তি এটা করে ভালো ফল পেয়েছেন।এরকম করলে আপনার মাথা অনেক হালকা হয়ে যাবে।
অভ্যাস নম্বর ৩- কথন(Affirmations)
কথন(Affirmations) হলো আপনার কল্পনার শাব্দিক প্রকাশ। আপনি একটি কাগজে জীবনে কি হতে চান,জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র গুলোতে নিজেকে কিভাবে দেখতে চান,জীবনে কি পরিবর্তন চান,কেন ওই পরিবর্তন গুলো চান,এর জন্য আপনি কি কি করতে পারেন, সব কিছু লিখে ফেলুন এবং প্রতিদিন জোরে জোরে পড়ুন। অথবা এটাও করতে পারেন -আপনি ওই লেখা গুলোর অডিও রেকডিং তৈরি করে রোজ সকালে হেডফোনে শুনুন।এই কথন প্রক্রিয়ার ওপর অনেক গবেষণা হয়েছে।আমেরিকার নর্থ-ইস্টার্ন স্টেট উনিভার্সিটির গবেষণায় এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই সপ্তাহে এক অভাবনীয় ধনাত্মক পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে।এই প্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রে কাজ করলেও সেই সব মানুষের ক্ষেত্রে কাজ করে না, যারা এটিকে অবাস্তব চিন্তাভাবনা মনে করে থাকেন। কথন হলো এক প্রকার মানসিক ব্যায়াম যাতে ধীরে ধীরে মানুষ তার অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারে। এই প্রক্রিয়া একটু দীর্ঘ মেয়াদি।
অভ্যাস নম্বর ৪-কৃতজ্ঞতা প্রকাশ( Gratitude)
আপনি আপনার চারপাশে এমন অনেক মানুষ পাবেন যারা সব সময় কোননা কোনো বিষয়ে অভিযোগ করে থাকেন। যেমন-ওদের ঘর ভালো না, ওর গাড়ি দেখতে ভালো না, ওর পশে পয়সা নেই।
ওকে কেউ সাহায্য করে না, ইত্যাদি। এই বিশ্বের একটি নিয়ম আছে,আপনি যত অভিযোগ করবেন,আপনার কষ্ট এতটাই বাড়বে। যদি আপনি সবসময় নিজেকে গরিব ভাবেন বা গরিব দেখানোর চেষ্টা করেন তবে কোনোদিনই আপনি ধোনি হতে পারবেন না।সবসময় অভিযোগ করা বন্ধ করে ,ভগবান যা দিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ বোধ করুন।পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের হাত ,পা,চোখ নেই ,কিন্তু অনেকের এসব থাকা সত্ত্বেও আরো ভালো ,আরো ভালো করে অভিযোগের পাহাড় খাড়া করে থাকেন।বরং এসব না করে আপনার কাছে যা আছে ওর জন্য কৃতজ্ঞ হতে শিখুন। রন্ডা ব্রায়ন(Rhonda Byrne) তাঁর বই THE MAGIC তে কৃতজ্ঞতাকে ম্যাজিক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন Gratitude ম্যাজিকের মতো কাজ করে।যখন আপনি ধন্যবাদ প্রবন হয়ে যান ঠিক তথন থেকেই আপনার জীবনে পরিবর্তন শুরু হয়ে হয়ে যায়। অভিযোগ করা বন্ধ করুন। আপনার জীবনে যে সমস্ত জিনিস আছে যে সমস্ত মানুষ আছেন তাদের প্রশংসা করুন,এবং দেখুন কিভাবে আপনার জীবন বদলাতে শুরু করে।
অভ্যাস নম্বর ৫- (Remember your death)
এটি একটি এমন অভ্যাস যা করলে আপনার সমস্ত কষ্ট ছোট লাগতে শুরু করবে। আপনি ব্যর্থতাকে ভয় পাওয়া বন্ধ করে দেবেন।এই অভ্যাস আপনাকে বড় সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সাহায্য করবে। এই অভ্যাসটি হলো নিজের মৃত্যুকে মনে করা।Apple এর Founder,Steve Jobs বলেছিলেন যে তিনি রোজ সকালে উঠে,আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে দেখতেন এবং নিজেকে এই প্রশ্নটি করতেন ,''যদি আজকের দিনটি আমার জীবনের শেষ দিন হতো তবে আমি কি এই কাজটাই করতাম যা আমি করতে যাচ্ছি?''আপনাকেও ঠিক এই প্রশ্নটি নিজেকে প্রত্যেক সকালে নিজেকে করতে হবে,
যদি আপনার উত্তর না হয় এবং প্রতিনিয়ত কিছু দিন ধরে এর উত্তর না হয় তবে আপনাকে এটা ভাবতে হবে যে আপনার ও কিছু না কিছু পরিবর্তনের দরকার আছে।

অভ্যাস নম্বর ১- কল্পনা(Visualization )

যারা এইসবের আবিষ্কার করেছেন তারা মনে কল্পনা করতে পেরেছিলেন বলেই তা বানানোর কথা ভাবতে পেরেছিলেন।যে কাজ আপনি করতে চান বা জীবনে যা হতে চান তা যদি আপনি কল্পনাই না করতে পারেন বা মনে আনতে না পারেন তবে কোনো দিনই তা হতে বা করতে পারবেন না।
সমস্ত সফল ব্যক্তি যাঁরা তার নিজ কর্মক্ষেত্রে সফল হয়েছেন,তা ছোট ধরণের সফলতা হোক বা বড়,তার শুরু কল্পনা থেকেই হয়েছে।তাই ভাবতে শিখুন। তবেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে পারবেন।
আমাদের অবচেতন মন সারাদিনই সক্রিয় থাকে কিন্তু রাতে ঘুম আসার ঠিক কিছুক্ষন আগে থেকে আমাদের অবচেতন মন সব থেকে বেশি সক্রিয় থাকে।যদি আপনি সারা দিন ভালো চিন্তা কথা করেন, কিন্তু দিনের শেষে যখন আপনি ঘুমোতে যান তখন যদি ঋণাত্মক চিন্তা করেন তবে সারা দিনের এতো ভালো ভাবনার কোনো ফল আপনি পাবেন না।তাই রাতে ঘুম আসার আগে পর্যন্ত অবশ্যই ভালো চিন্তা করুন।
অভ্যাস নম্বর ২- (Throw worries in the dustbin)

কিন্তু যখন আপনাকে বারবার লিখতে হবে তখন আপনার ওই চিন্তাগুলো কম হতে হতে ফিকে হয়ে যাবে।এটা হলো চিন্তা করার নতুন উপায়,যেখানে আপনি আপনার মাথা দিয়ে নয় বরং কলম দিয়ে চিন্তা করেন।এরকম করলে আপনি বেশি চিন্তা করতে পারবেন না কারণ যখনি আপনার মাথায় চিন্তা আসবে তখনি আপনাকে ওটা লিখতে হবে। অনেক সফল ব্যক্তি এটা করে ভালো ফল পেয়েছেন।এরকম করলে আপনার মাথা অনেক হালকা হয়ে যাবে।
অভ্যাস নম্বর ৩- কথন(Affirmations)

অভ্যাস নম্বর ৪-কৃতজ্ঞতা প্রকাশ( Gratitude)

ওকে কেউ সাহায্য করে না, ইত্যাদি। এই বিশ্বের একটি নিয়ম আছে,আপনি যত অভিযোগ করবেন,আপনার কষ্ট এতটাই বাড়বে। যদি আপনি সবসময় নিজেকে গরিব ভাবেন বা গরিব দেখানোর চেষ্টা করেন তবে কোনোদিনই আপনি ধোনি হতে পারবেন না।সবসময় অভিযোগ করা বন্ধ করে ,ভগবান যা দিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ বোধ করুন।পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের হাত ,পা,চোখ নেই ,কিন্তু অনেকের এসব থাকা সত্ত্বেও আরো ভালো ,আরো ভালো করে অভিযোগের পাহাড় খাড়া করে থাকেন।বরং এসব না করে আপনার কাছে যা আছে ওর জন্য কৃতজ্ঞ হতে শিখুন। রন্ডা ব্রায়ন(Rhonda Byrne) তাঁর বই THE MAGIC তে কৃতজ্ঞতাকে ম্যাজিক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন Gratitude ম্যাজিকের মতো কাজ করে।যখন আপনি ধন্যবাদ প্রবন হয়ে যান ঠিক তথন থেকেই আপনার জীবনে পরিবর্তন শুরু হয়ে হয়ে যায়। অভিযোগ করা বন্ধ করুন। আপনার জীবনে যে সমস্ত জিনিস আছে যে সমস্ত মানুষ আছেন তাদের প্রশংসা করুন,এবং দেখুন কিভাবে আপনার জীবন বদলাতে শুরু করে।
অভ্যাস নম্বর ৫- (Remember your death)

যদি আপনার উত্তর না হয় এবং প্রতিনিয়ত কিছু দিন ধরে এর উত্তর না হয় তবে আপনাকে এটা ভাবতে হবে যে আপনার ও কিছু না কিছু পরিবর্তনের দরকার আছে।



Comments
Post a Comment